অর্কিডের ভূবনে আপনাকে স্বাগতম!

অর্কিড ফুলের ছোঁয়ায় আপনার জীবন হোক আরও অর্থপূর্ণ ও নান্দনিক-শুভ সালাতিন

ছাদে বা বারান্দায় অর্কিড চাষ করবেন কিভাবে?

অর্কিডের ছোঁয়ায় আপনার গৃহকোন হোক নান্দনিক। অর্কিড পালন করতে চান, কিন্তু, কিভাবে শুরু করবেন? কি জাতের অর্কিড ভালো? কত দাম? রোগ-বালাই দুর করবেন কিভাবে? সার ও পানি দেওয়ার নিয়ম-কানুন ? সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে...

অর্কিডের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ?

অর্কিডের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ কোনটা? কি জাতের অর্কিড সহজেই লালন পালন করা যায়? অর্কিড ঘর, টব, মিডিয়া কি ও কেন প্রয়োজন? অর্কিডের পাতা কেন হলুদ হয়ে যাচ্ছে কেন? কনফিউজড?? সমাধান এখন আপনার হাতের নাগালে..

অর্কিড পালন ? সেতো অনেক খরচের বিষয় !

আপনি কি জানেন ? একটি অর্কিড থেকে সহজেই একাধিক অর্কিড পেতে পারেন। এখানে পাচ্ছেন বীজ থেকে কিংবা কঁচি বাড থেকে নতুর অর্কিড উৎপাদনের কৌশল। আপনার সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য আমি রয়েছি..

বুঁনো অর্কিডের খোঁজে

চলুন, ঘুরে আসি বাংলাদেশের পাহাড় আর জংগলে, যেখানে গাছের ডালে ঝুলে আছে অগণিত নমা না জানা অগণিত অর্কিড। এই বুনো অর্কিডের সৌন্দর্য আপনাকে শহুরের একঘেয়েমী জীবন থেকে একটানে তুলে নিয়ে যাবে সৌন্দর্যের এক অনাবিল ভূবনে। ফ্রেম বন্দি করবো অনিন্দ্য সুন্দর মুহূর্তগুলো। অর্কিডের ভূবনে আপনি স্বাগত !

Wednesday, January 19, 2022

ভালো অর্কিড কেনার উপায়

ভালো অর্কিড কেনার উপায় 

 


 

ভালো অর্কিড কেনা বা চেনা সহজ নয়।  এটা চর্চা করতে হয়। আমরা অনেকে লোকাল নার্সারী বা অন-লাইন থেকে অর্কিড গাছ কিনে ঠকেছি। অন-লাইনে যেটা হয়-সেটা  প্রতারণা। দেখাবে সুস্হ সবল গাছের ছবি কিন্তুু  ডেলিভারী দিবে দুর্বল গাছ। আপনি অনেক পয়সা খরচ করে অর্কিড কিনলেন, বাসায় এনে পটে বসালেন,কিন্তুু ফুল তো দুরের কথা, শুকিয়ে মরে গেলো। পয়সাও গেলো আবার অর্কিডের শখটাও মরে গেলো । অনলাইনে সবাই প্রতারক নয়। ফেইসবুকে কিছু ভালো গ্রুপ আছে, সেখানে বিক্রেতারা বেশ ভালোমানের অর্কিড বিক্রি করে থাকে। অনেক বিক্রেতার আবার বেশ নাম ডাক আছে। প্রথমে আলোচনা করবো অনলাইন তথা ফেইসবুক থেকে অর্কিড গাছ কেনার ব্যাপারে।

১. গ্রুপে জয়েন করুন্ ।  বিশেষ করে যেসব গ্রুপে অর্কিড বিক্রির জন্য সেল পোষ্ট দেওয়া হয়। 


২. সদস্যদের কমেন্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বিক্রেতার প্রতি সদস্যদের মন্তব্যগুলো মাথায় রাখবেন।


৩. বিক্রেতারা সাধারণত পোষ্টে অর্কিডের ছবি দেয়, মূল্য দেয় না ( কিছু কিছু ক্ষেত্রে) । ম্যাসেন্জারে যোগাযোগ করতে বলে । ছবি থাকলে তা যাচাই করার জন্য সেভ করুন। রেফারেন্স ছবি দেওয়া থাকলে, আসল গাছের ছবি দিতে বলুন। অনেক সময় রেফারেন্স ছবির সাথে বাস্তব গাছের সাথে কোন মিল থাকে না ।

৪. ফুল সহ গাছ কেনার চেষ্টা করবেন। ফুল সহ গাছের দাম বেশ বেশী । অনলাইনে দাম কমানোর চেষ্টা না করাই ভালো । বেশীর ভাগই সৈখিন বিক্রেতা । এক পয়সাও কমায় না। সরি,ভাই পারবো না-বলে দেয়।

৫. হোম আর ক্যাশ-অন-ডেলিভারী নেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেক্ষেত্রে যাচাই বাছাইয়ের একটা উপায় থাকে।  কুরিয়ারেও অনেক বিক্রেতারা বেশ ভালো ভাবে প্যাকিং করে দেয়। পটিঙ ছাড়া কিনলে গাছ রোপন করার নিয়মাবলী জেনে নিন। 

অর্কিড কেনার সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ উপায় হলো-নার্সারী । নিজের চোখে দেখে যাচাই করে অর্কিড কিনলে ঠকবেন না, তাই কষ্ট করে হলেও ভালো কোন নার্সারীতে ঢুঁ মারুন। ঢাকাতে বেশ কয়েকটি অভিজাত নার্সারী আছে যেমন, আগাঁরগাওয়ের সবুজ-বাংলা নার্সারী, তেঁজগাও-গুলশান লিংক রোডের ব্রাক নার্সারী। এখানে অর্কিডের মূল্য বেশ চড়া। তাছাড়া ছোট[বড় আরও বেশ কয়েকটি নার্সারী আছে আঁগারগায়ে। আর যদি পাইকারী হারে অধিক সংখ্যক অর্কিড কিনতে চান, তাহলে সাভারে যেতে পারেন।

নার্সারী  থেকে  কেনার ক্ষেত্রে : ১. শিকড় পরীক্ষা করুন। দৃশ্যমান শিকড় দেখে অর্কিডের   হেল্থ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা পাবেন।স্বাসহ্যকর অর্কিডের শিকড় সাধারণত সাদা বা সবুজ রঙের হবে। অন্যদিকে খয়েরী এবং নরম শিকড় অতিরিক্ত পানি দেওয়ার ফল। প্রয়োজনে  পট থেকে অর্কিড গাছটি বের করে  ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। অনেকসময় হলুদ পাতা দুর্বল অর্কিড নির্দেশ করে। কিন্তুু এটা সবসময়  ঠিক নাও হতে পারে। অর্কিডের উপরের দিকের পাতা যদি উজ্জ্বল ও গাঢ় সবুজ রঙের হয় এবং নিচের দিকের পাতা হলদেটে হয়, তাহলে এটা স্বাভাবিক। সাধারণত বয়স্ক পাতা হলুদ হয়ে পড়ে যায়, নতুন পাতা গজানোর জন্য। যদি গাছের সব পাতা যদি হলুদ দেখেন তাহলে সেটা হয়তো পানির অভাবে অথবা অতিরিক্ত পানির দেওয়ার জন্য। হলুদ দাগ থাকলে সেটা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। মিলি বাগস বা ম্পাইডার বাগস দেখার জন্য পাতার উপরে-নীচে সাদা গুড়া-গুড়া আছে কিনা দেখুন।

২. ফুল :  অর্কিড কেনার সময় ফুল আছে কিনা-সেটা দেখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । সবসময় চেষ্টা করবেন ফুলসহ অর্কিড কেনার। ফুলগুলো সবল এবং স্পাইকের ( ডাটা) সাথে দৃঢ়ভাবে বসানো কিনা-ভালো করে লক্ষ্য করুন। কলিসহ দুই-একটা স্পাইক আছে কিনা লক্ষ্য করুন-এতে কেনার পর আরো ফুল পাবেন। 

৩. শক্ত স্পাইক:  শক্ত স্পাইক বা ডাটা ফুলকে দৃঢ়ভাবে মেলে ধরে। স্পাইক যেন খাড়া থাকে এবং ফুলের ভার বহন করতে সক্ষম। দুর্বল গাছে সাধারণত দুর্বল স্পাইক থাকে-এই স্পাইকগুলো ফুলের ভারে নীচের দিকে বেঁকে যায়। 

৪. গন্ধ নিন: নাকের কাছে এনে গন্ধ শুকুন। যদি পঁচা গন্ধ পান তাহলে বুঝবেন, গাছটি পঁচে যাওয়ার সম্ভবনা বেশী।