Monday, October 24, 2016

ড্যানড্রবিয়াম

অর্কিডের একটি সুবিশাল প্রজাতি হলো ড্যানড্রবিয়াম। সুইডিশ উদ্বিদবিজ্ঞানী ওলফ সোর্য়াজ ১৭৯৯ সালে এই অর্কিড আবিষ্কার করেন। ড্যানড্রবিয়াম অর্কিডের ১২০০-এর অধিক প্রজাতি রয়েছে। এই প্রজাতির অর্কিডের আবাস®হল হলো দক্ষিণ,পূর্ব এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায়,বিশেষ করে,চীন,জাপান,ভারত,ফিলিপাইন,ইন্দোনেশিয়া,অষ্ট্রেলিয়া,নিউ গিনি,ভিয়েতনাম এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে। ড্যানড্রবিয়াম শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘ড্যানড্রো’ বা গাছ এবং ‘বায়োস’ বা প্রাণ থেকে, যার অর্থ ‘ যে গাছে বাস করে’।
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ড্যানড্রবিয়াম খুব জন্মে। এই অর্কিডের ফুল ছোট,মাঝারী ও বড় আকারের হয়। ফুলের রঙে আছে বৈচিত্র। সাদা,হলদে,সবুজ,লাল রঙের ফুল মনকে মোহিত করে। নার্সারীতে এই অর্কিডের প্রাধান্য বেশী। তুলনামূলক দাম কম থাকায় বিক্রিও ভাল। ড্যানড্রবিয়াম মূলত এপিফাইটিক অথাৎ গাছে জন্মায়। আবার কিছু কিছু ড্যানড্রবিয়াম লিথোফাইটিক অথাৎ পাথরের ভাঁজে জন্মায়। হিমালয় পর্বতমালায় যেমন এই অর্কিড দেখা যায়, তেমনি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চল এমনকি অষ্ট্রেলিয়ান মরুভূমির শুষ্ক আবহাওয়াতেও এই অর্কিড দেখা যায়।

সারা গ্রীষ্মকালেই ড্যানড্রবিয়াম অর্কিডের ফুল ফোটে কিন্তু, শীতকালে বিশ্রাম নেয়।


0 comments:

Post a Comment